কবি, ভালো আছো?
কতদিন হল নিজেকে দেখার চেষ্টা করছি। ভেঙ্গে চুড়ে আবার বোঝার চেষ্টা করছি। সেই স্বাদ আমার আর পূর্ন হচ্ছে কই?
কবি, ভালো আছো?
নিজেকে খুব করে চিনিয়ে দিতে চাই। তবু কেন যেন, নিজেই নিজেকে চিনে উঠতে পারছিনা!
কবি, ভালো আছো?
আমার ভালো না থাকার কথাটা হয়তো তোমার শোনার নয়, তাই আমি ভালোই রয়েছি আজো। তবু এই ভালো যে কেমন ভালো, তা যেন আর জানতে চেওনা।
তোমার মনে কি কোন দুঃখ আছে কবি?
সেই ছোট্ট বেলায় কোন এক প্রবন্ধে যেন পড়েছিলাম মনে নেই। তবে খুব সত্য বটে “দূঃখে যাদের জীবন গড়া, তাদের আবার দূঃখ কিসের”।
তুমি কোন বিষাদে লেপ্টে আছো কবি? মাঝে মাঝে মনেহয়, তোমাকে আমি বুঝতে পারিনা!
মায়াবতি, তোমার কাছে লুকানো যায় এমন কিছুই নেই আমার। নিজেকে চরম দূঃখি ভাবিনা কখনো, তবে হৃদয়ের বিষাদ যেন আর পিছু ছাড়েনা!
তুমি কি আমার ভালবাসায় সন্তুষ্ট নয় কবি?
তোমার প্রতি অসন্তোস রাখতে পারি, এমন কি আস্পর্ধা আছে আমার। তুমি যতটুকু দাও, তাকেতো হৃদয়ের প্রসাধ বলিয়া মানি।
তুমি আমার কাছে কতটুকু চাও কবি? স্পস্ট করিয়া বল, আমি উজাড় করিয়া দেবো।
মায়াবিনী আবার মায়াবতি ও তুমি। কি সিমাহীন মায়া যে জাগিয়েছো, তা তখনি স্পষ্ট হয়ে হৃদয়ে আঘাত করে যখন তুমি থাকো আড়াল নিয়ে। তুমি যখনি আড়াল হও হৃদয় যেন কেঁদে উঠে আমার, ভাবি এই বুঝি তুমি হারিয়ে গেলে। লুকালে আধারে নিজেকে…
এ কি মায়াবরতি, তুমি কাঁদছো কেন?!
তোমাকে আমি বুঝতে পারলামনা যে!
মা য়া ব তি, হৃদয় জুড়ে রয়েছো তুমি। ভালবাসি তোমাকে।